ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

মহাসড়কে হাট বসলে কঠোর ব্যবস্থা

চকরিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২২টি কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের ইজারা দেওয়া বাজার ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে অনুমোদন বিহীন গড়ে তোলা অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে এক সপ্তাহ আগে থেকে গরু মহিষ ছাগল বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, কোরবানি পশুর হাট শুরুর আগে থেকে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে আলীকদমের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হয়ে চোরাই পথে মায়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে আসা গরু মহিষ সয়লাব হয়ে পড়েছে।
একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে অবাদে বিপুল পরিমাণ গরু কোরবানির পশুর হাট দখলে নিলেও স্থানীয় জনগণের চাহিদা দেশীয় গরু। বিশেষ করে একক পরিবার নিয়ে ছোটন সাইজের দেশীয় গরু কিনতে বেশি পছন্দ করছেন।
চকরিয়া উপজেলার ইলিশিয়া গরু বাজারটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে একটি বৃহত্তর পশুর হাট। এই হাটে সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার প্রচুর পরিমানে দেশীয় গরু বেচাকেনা চলে বছরজুড়ে। এরপরে বেশি কোরবানি ঈদে বিপুল গরু ছাগল বেচাকেনা চলে চকরিয়া পৌরসভার ঐতিহ্যবাহি ঘনশ্যাম বাজারে। সপ্তাহে শুক্রবার ও সোমবার বাজারটি চালু আছে।

ইলিশিয়া গরু বাজার ও ঘনশ্যাম বাজার ছাড়াও ঈদুল আজহা উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকার মগবাজার কমিউনিটি সেন্টার মাঠ, চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল মাঠ বাজারে প্রচুর পরিমানে দেশীয় গরুর বেচাকেনা চলে। এই দুটি বাজার মহাসড়কের নিকটে হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ছাড়াও কক্সবাজার চট্টগ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ ক্রেতা সমাগম ঘটে কোরবানি পশু কিনতে। এবছর উত্তর হারবাং এলাকায় কোরবানি পশুর হাট চালু হয়েছে। মহাসড়কের একেবারে বাজারটির অবস্থান হওয়ায় দুরদুরান্ত থেকে ক্রেতারা পছন্দের গরু কিনতে আসছে বলে জানিয়েছেন বাজার কমিটির সমন্বয়ক আবদুল আলম। তিনি বলেন, আমাদের বাজারে দেশীয় গরু বেশি উঠে। ক্রেতারাও দেশীয় গরু বেশি পছন্দ করেন।

এদিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে চকরিয়া উপজেলার একাধিক কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী। পরিদর্শনকালে ইউএনও জেপি দেওয়ান কোরবানি পশুর হাটের সংশ্লিষ্ট ইজারাদার এবং ক্রেতা-বিক্রেতা ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, এই পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কোরবানি পশুর হাটে গরু ছাগল বেচাকেনা চলছে। পরিদর্শনকালে সেটিই পরিলক্ষিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা আছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়কের উপর কোনধরনের পশু বিক্রি হাট বসানো যাবেনা। কারণ সড়কের উপর হাট বসালে যানযটের সৃষ্টি হয়। আমরা সেদিকে নজর রাখছি। যদি কেউ মহাসড়কে পশুর হাট বসানোর চেষ্টা করে বা বসায়, তাহলে এব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে জরিমানাও করা হবে।

ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, কোরবানি পশুর হাট পরিদর্শনকালে বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি পশু জবাইয়ের পর কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে সুবিধাভোগী জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়।

পাঠকের মতামত: